You are currently offline. Some features may be limited.
Install বং Toozs: বাংলার মুখ, নতুন ধারা।
Get quick access and enhanced performance
দার্জিলিং - পাহাড়ের রানীর অ্যাডভেঞ্চার সিকিম - কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে মানালি - হিমাচলের অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল ঋষিকেশ - যোগ ও অ্যাডভেঞ্চারের পবিত্র সংমিশ্রণ লাদাখ - হিমালয়ের রাজ্যে রোমাঞ্চকর অভিযান ভ্রমণ ফ্যান্টাসি গেম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বদের জীবনী ও অবদান বাংলাদেশ বিনিয়োগ ক্রিকেট বিশ্বকাপ কপা আমেরিকা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফিফা বিশ্বকাপ টেনিস ক্রিকেট ফুটবল মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ শিশুদের স্বাস্থ্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা স্বাস্থ্য প্রযুক্তি অন্যান্য আবহাওয়া গ্যালারি জীবনরেখা উৎসব জীবন ধারা রাজনীতি খেলাধুলা ব্যবসা বিনোধন বিজ্ঞান শিক্ষা হুগলি মুর্শিদাবাদ বাঁকুড়া বীরভূম পুরুলিয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা উত্তর ২৪ পরগনা পশ্চিম মেদিনীপুর পূর্ব মেদিনীপুর বর্ধমান উত্তরবঙ্গ কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ দেশ খবর

মহাকুম্ভ ২০২৫: আধ্যাত্মিকতার মহামিলন এবং ঐতিহ্যের প্রতীক

মহাকুম্ভ ২০২৫: আধ্যাত্মিকতার মহামিলন এবং ঐতিহ্যের প্রতীক

মহাকুম্ভ মেলা বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ এবং আধ্যাত্মিক চেতনার এক অনন্য উদযাপন। এটি হিন্দুধর্মের একটি পবিত্র উৎসব, যা প্রতি ১২ বছর অন্তর চারটি স্থানে পালিত হয়: প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী এবং নাসিক। মহাকুম্ভ মেলা প্রতি ১৪৪ বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয় এবং ২০২৫ সালে এই মহোৎসব অনুষ্ঠিত হবে প্রয়াগরাজে, যেখানে গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে ভক্তরা পবিত্র স্নানের মাধ্যমে মোক্ষ ও পাপমোচনের উদ্দেশ্যে সমবেত হবেন। এটি বিশ্বের বৃহত্তম সমাবেশ হিসেবে খ্যাত।


মহাকুম্ভের পবিত্রতা ও পৌরাণিক কাহিনী

মহাকুম্ভের উৎপত্তি হিন্দু পুরাণে বর্ণিত সমুদ্র মন্থন কাহিনীর সঙ্গে যুক্ত। এই কাহিনী অনুযায়ী, দেবতা এবং অসুররা একসঙ্গে অমৃতের (অমরত্বের মধু) জন্য সমুদ্র মন্থন করেছিলেন। অমৃত কলসের জন্য দেবতা এবং অসুরদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে ভগবান বিষ্ণু সেই অমৃত কলস চারটি স্থানে লুকিয়ে রাখেন: প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী এবং নাসিক। এই চারটি স্থানে অমৃতের কয়েক ফোঁটা পড়েছিল বলে মনে করা হয়। সেই থেকেই এই স্থানগুলোতে কুম্ভ মেলা আয়োজিত হয়।

 

 

মহাকুম্ভের ইতিহাস ও ঐতিহ্য

মহাকুম্ভের উৎপত্তি হিন্দু পুরাণে বর্ণিত সমুদ্র মন্থন কাহিনীর সঙ্গে যুক্ত। এই কাহিনী অনুযায়ী, দেবতা এবং অসুররা একসঙ্গে অমৃতের (অমরত্বের মধু) জন্য সমুদ্র মন্থন করেছিলেন। অমৃত কলসের জন্য দেবতা এবং অসুরদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে ভগবান বিষ্ণু সেই অমৃত কলস চারটি স্থানে লুকিয়ে রাখেন: প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী এবং নাসিক। এই চারটি স্থানে অমৃতের কয়েক ফোঁটা পড়েছিল বলে মনে করা হয়। সেই থেকেই এই স্থানগুলোতে কুম্ভ মেলা আয়োজিত হয়।মন্থনের সময় অমৃতের কলস বা "কুম্ভ" থেকে কয়েক ফোঁটা অমৃত পৃথিবীর চারটি স্থানে পড়ে। এই স্থানগুলোতে কুম্ভ মেলা আয়োজনের প্রথা চালু হয়।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, গুপ্ত যুগ থেকে কুম্ভ মেলা পালিত হয়ে আসছে। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলার আয়োজন আধ্যাত্মিক গুরুত্ব এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক মেলবন্ধন।

কুম্ভ মেলার উৎপত্তি হিন্দু পুরাণে বর্ণিত সমুদ্র মন্থন কাহিনীর সঙ্গে যুক্ত। দেবতা ও অসুররা অমৃত লাভের জন্য সমুদ্র মন্থন করেছিলেন। অমৃতের কলস (কুম্ভ) নিয়ে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে সংঘর্ষের সময়, কয়েক ফোঁটা অমৃত পৃথিবীর চারটি স্থানে পড়ে: প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী এবং নাসিক। এই স্থানগুলোতেই কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম কুম্ভ মেলা কবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, আদি শঙ্করাচার্যের সময়ে (৮ম শতাব্দী) কুম্ভ মেলার প্রচলন শুরু হয়। আবার, কিছু ইতিহাসবিদের মতে, গুপ্ত যুগে (চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতাব্দী) কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হত। চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং-এর বিবরণ অনুযায়ী, সম্রাট হর্ষবর্ধনের (৬০৬-৬৪৭ খ্রিস্টাব্দ) আমলেও প্রয়াগে কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হত।

মহাকুম্ভ ২০২৫: কেন এবং কখন

কুম্ভ মেলা চারটি স্থানে পালিত হয়: প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী এবং নাসিক। প্রতি ১২ বছরে একবার এই স্থানগুলোর প্রতিটিতে পূর্ণ কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রয়াগরাজে প্রতি ১৪৪ বছরে (১২টি পূর্ণ কুম্ভ চক্রের পর) মহাকুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৫ সালে এই মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হবে, যা ভক্তদের জন্য এক জীবনে একবার অংশগ্রহণের সুযোগ এনে দেয়।

মহাকুম্ভ মেলার সময় নির্ধারণ জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে করা হয়। ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলা ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে স্নান করা অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়, যা পাপমোচন এবং মোক্ষ লাভের পথ সুগম করে।

মহাকুম্ভ ২০২৫-এ অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক ভক্তদের জন্য এটি একটি অনন্য সুযোগ, যা জীবনে একবারই আসে। এই মহোৎসবে অংশগ্রহণ করে আধ্যাত্মিকতা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা লাভ করা সম্ভব।

 


মহাকুম্ভ ২০২৫: কেন এবং কখন

মহাকুম্ভ মেলার তারিখ জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালে মহাকুম্ভ শুরু হবে জানুয়ারি মাসে এবং চলবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পবিত্র স্নানের তারিখগুলো হল:

  • মকর সংক্রান্তি (১৪ জানুয়ারি): মেলার সূচনা।
  • পৌষ পূর্ণিমা (২৫ জানুয়ারি): প্রথম পূর্ণিমার স্নান।
  • মাঘী অমাবস্যা (১০ ফেব্রুয়ারি): সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন।
  • মহা শিবরাত্রি (১১ মার্চ): মেলার সমাপ্তি।

এই সময়ে গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে স্নান করা অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। এটি মোক্ষ লাভের একটি পথ বলে মনে করা হয়।


মহাকুম্ভের বিশেষ বৈশিষ্ট্য

  1. বিশ্বের বৃহত্তম সমাবেশ: কোটি কোটি ভক্ত, সাধু এবং পর্যটকের অংশগ্রহণ।
  2. আধ্যাত্মিকতার মঞ্চ: পবিত্র স্নান, পূজা এবং ধর্মীয় আলোচনা।
  3. সংস্কৃতির মহামিলন: ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রদর্শনী।
  4. সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনা: উন্নত প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মহাকুম্ভ ২০২৫ আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক মহামিলন। এটি শুধুমাত্র একটি উৎসব নয়; এটি জীবনের গভীরতর অর্থ উপলব্ধির একটি সুযোগ। প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত এই মহামিলনে অংশগ্রহণ করে আধ্যাত্মিক শান্তি এবং ঐতিহ্যের অনুভূতি অর্জন করুন।

 

Post Code : NDMt4Kac4Ka+4Kao4KeBIDEzLCAyMDI1

Stay Updated with Tech News

Get the latest technology updates, tutorials, and reviews delivered to your inbox.

Popular Tags